হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী বলেন, “সাহিফা সাজ্জাদিয়া’র একটি আলোজ্জ্বল বাক্য হলো:
یا مَن لا تغیّروا حکمته الوسائل
'ইয়া মান লা তুগাইয়্যিরু হিকমাতাহুল ওসায়েল'—অর্থাৎ, ‘হে সেই সত্তা, যার প্রজ্ঞা কখনো কোনো মাধ্যম দ্বারা পরিবর্তিত হয় না।’
আল্লাহ তাঁর প্রজ্ঞার ভিত্তিতেই সব কিছু পরিচালনা করেন। অনেক সময় মানুষ অজ্ঞতাবশত কোনো বিষয় চোখের অশ্রু দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, দিনের পর দিন তাঁকে আহ্বান জানায়—যখন সে জানেই না, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
وَ عَسَی أَن تُحِبُّوا شَیْئاً وَ هُوَ شَرٌّ لَکُم
'হয়তো তোমরা কোনো বিষয়কে ভালোবাসো অথচ সেটি তোমাদের জন্য ক্ষতিকর।'
[সূরা বাকারাহ: ২১৬]
তাই, আল্লাহর কাছে সরাসরি নির্দিষ্ট কিছু চাওয়ার বদলে কেবল কল্যাণ চাওয়াই উচিত। আর যদি কোনো কিছু বিশেষভাবে কামনা করতেও হয়, তাহলে সেটিকে যেন এইভাবে বলা হয়:
“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছ থেকে কল্যাণ চাই। যদি এ বস্তু বা বিষয়টিই আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তবে আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করুন।”
এই বক্তব্যটি তিনি উপস্থাপন করেছেন তাঁর কুরআন তাফসিরভিত্তিক পাঠক্রমে, সূরা মায়েদার চতুর্থ অধিবেশনে। সেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, আল্লাহ্ তায়ালা সব কিছুই করে থাকেন তাঁর অপরিবর্তনীয় হিকমতের ভিত্তিতে। তাই মানুষের উচিত আল্লাহর নিকট সরাসরি কল্যাণ প্রার্থনা করা—না যে, নির্দিষ্ট কোনো বিষয় জোর করে চাইবার প্রস্তাব দেওয়া। বরং প্রার্থনার ভাষা হওয়া উচিত এইরূপ: “হে আল্লাহ! আমি কল্যাণই চাইছি, যদি এ বিষয়ে আমার জন্য কল্যাণ নিহিত থাকে, তাহলে তুমি তা দান করো।”
এই আলোচনার মাধ্যমে তিনি আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা ও আস্থা স্থাপনের শুদ্ধ পদ্ধতি তুলে ধরেন।
আপনার কমেন্ট